নিউজ ডেস্ক : ভারত থেকে আরো ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করছে বাংলাদেশ। ১০ জুন থেকে এই বিদ্যুৎ বাংলাদেশের জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হতে শুরু করবে। ফলে প্রতিবেশি দেশটি থেকে বাংলাদেশের আমদানি করা বিদ্যুতের পরিমাণ ১,১১০ মেগাওয়াট দাঁড়াবে বলে বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব আহমেদ কায়কাউস সোমবার স্থানীয় নিউ এজ পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন।
রাষ্ট্রায়ত্ব বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডকে এই বিদ্যুৎ আনতে আগামী ১৫ বছরে ৪১,৫৭৯ কোটি টাকা ব্যয় করতে হবে। ভারতে পশ্চিমবঙ্গের বহরামপুর ও বাংলাদেশে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার মধ্যে স্থাপিত ৪০০ কেভি ট্রান্সবর্ডার ট্রান্সমিশন লাইনের মাধ্যমে এই বিদ্যুৎ আনা হবে। গত সপ্তাহে বিদ্যুৎ বোর্ডের তৈরি করা একটি সারসংক্ষেপ থেকে এই তথ্য জানা যায় বলে পত্রিকাটি লিখেছে।
বিদ্যুৎ আমদানির জন্য এরইমধ্যে ভারতের কোম্পানি এনটিপিসি বিদ্যুৎ ভ্যাপার নিগাম লিমিটেড (এনভিভিএন) এবং পাওয়ার ট্রেডিং করপোরেশন (পিটিসি) ইন্ডিয়া লিমিটেডকে নির্বাচিত করেছে বিদ্যুৎ বিভাগ। গত ১১ এপ্রিল সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি তাদের দরপ্রস্তাব অনুমোদনও করেছে।
জানা যায়, বর্তমানে স্বল্প মেয়াদে ৩০০ ও ২০০ মেগাওয়াট করে ভারতের এই দুই কোম্পানির কাছ থেকে বিদ্যুৎ কেনা হচ্ছে। সরকার স্বল্প এবং দীর্ঘ দুই মেয়াদে ভারত থেকে বিদ্যুৎ কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
২০১৮ সালের ১ জুন থেকে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্বল্প মেয়াদে এবং ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০৩৩ সালের ৩১ মে পর্যন্ত মেয়াদকে দীর্ঘমেয়াদ হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে।
জানা যায়, এনভিভিএন (ইন্ডিয়া) থেকে স্বল্প মেয়াদে প্রতি ইউনিট ৪ টাকা ৭১ পয়সা দামে প্রতিদিন ৩০০ মেগাওয়াট এবং পিটিসি ইন্ডিয়া থেকে প্রতি ইউনিট ৪ টাকা ৮৬ পয়সা দামে প্রতিদিন ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হবে। তবে দীর্ঘ মেয়াদে এনভিভিএন প্রতি ইউনিট ৬ টাকা ৪৮ পয়সা মূল্যে ৩০০ মেগাওয়াট এবং পিটিসি থেকে প্রতি ইউনিট ৬ টাকা ৫৪ পয়সা মূল্যে ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হবে।
বিদ্যুতের মহাপরিকল্পনা অনুযায়ী বাংলাদেশ ২০৪০ সালের মধ্যে ভারত, নেপাল, ভুটান ও মিয়ানমার থেকে কমপক্ষে ৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির পরিকল্পনা করেছে।
পাঠকের মতামত